সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কোরআনের আলোকে কিয়ামতের কিছু আলামত

তারা (অবিশ্বাসীরা) শুধু এ বিষয়ের অপেক্ষমাণ যে তাদের কাছে ফেরেশতা আসবে কিংবা তোমার প্রতিপালক আসবেন অথবা তোমার পালনকর্তার কোনো নিদর্শন আসবে। যেদিন তোমার পালনকর্তার কোনো নিদর্শন (কিয়ামতের বড় কোনো আলামত) আসবে, সেদিন তার ইমান কোনো কাজে আসবে না, যে আগে ইমান আনেনি কিংবা যে ব্যক্তি ইমানের মাধ্যমে কোনো সৎকর্ম করেনি।
বলে দাও, ‘তোমরা প্রতীক্ষায় থাকো, আমরাও প্রতীক্ষায় রইলাম।’(সুরা আনআম : ১৫৮)।
তাফসির : সুরা আনআমের বেশির ভাগ আয়াত মক্কাবাসী ও আরব মুশরিকদের বিশ্বাস ও ক্রিয়াকর্মের সংস্কার এবং তাদের সন্দেহ ও প্রশ্নের উত্তরে অবতীর্ণ হয়েছে। গোটা সুরায় বিশেষভাবে আগের আয়াতগুলোতে মক্কা ও আরবের অধিবাসীদের সামনে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে যে তোমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মোজেজা ও প্রমাণাদি দেখে নিয়েছ, তাঁর সম্পর্কে পূর্ববর্তী গ্রন্থ ও নবীদের ভবিষ্যদ্বাণীও শুনে নিয়েছ। এখন ন্যায় ও সত্যের সমুদয় পথ তোমাদের সামনে উন্মুক্ত হয়ে গেছে। অতএব বিশ্বাস স্থাপনের জন্য আর কিসের অপেক্ষা? এ বিষয়টি আলোচ্য আয়াতে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভঙ্গিতে বলা হয়েছে, তারা কি বিশ্বাস স্থাপনের ব্যাপারে এ জন্য অপেক্ষা করছে যে মৃত্যুর ফেরেশতা তাদের কাছে পৌঁছবে। নাকি হাশরের ময়দানের জন্য তারা অপেক্ষা করছে, যেখানে প্রতিদান ও শাস্তির ফয়সালা করার জন্য আল্লাহ তায়ালা নিজেই আগমন করবেন কিংবা কিয়ামতের একটি সর্বশেষ নিদর্শন দেখে নেওয়ার জন্য তারা অপেক্ষা করছে?
কিয়ামতে আল্লাহ কি দেখা দেবেন?
পৃথিবীর সব মানুষের বিচার-ফয়সালার জন্য কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তায়ালা উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি কোরআনের একাধিক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। সুরা বাকারায় আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি এ জন্য অপেক্ষা করছে যে আল্লাহ মেঘমালার ছায়ায় তাদের কাছে এসে যাবেন?’- (সুরা বাকারা : ২১০)। প্রকৃত কথা হলো, আল্লাহ কিভাবে এবং কী অবস্থায় উপস্থিত হবেন, তা মানবজ্ঞান পুরোপুরি হৃদয়ঙ্গম করতে অক্ষম। তাই এ ধরনের আয়াত সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম ও পূর্ববর্তী মনীষীদের অভিমত এই যে কোরআনে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা-ই বিশ্বাস করতে হবে- এর স্বরূপ ও প্রকৃত অবস্থা আল্লাহই ভালো জানেন। তবে এটা সত্য যে জান্নাতিরা কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হবেন।
কিয়ামতের কিছু আলামত:
আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে : ‘তারা কি তোমার পালনকর্তার কোনো নিদর্শন (কিয়ামতের আলামত) দেখার অপেক্ষায় আছে?’- এ নিদর্শনের বিষয়ে কোরআনে পরিষ্কারভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে হাদিস শরিফে এর কিছু বিবরণ ও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত হবে না। এ নিদর্শন দেখার পর জগতের সব মানুষ ইমান আনতে শুরু করবে। এ সময় সম্পর্কেই কোরআনে বলা হয়েছে। তখনকার ইমান কারো জন্য ফলপ্রসূ হবে না।’ (বুখারি)।

অন্যত্র রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দশটি নিদর্শন না দেখা পর্যন্ত কিয়ামত হবে না। এক. পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়। দুই. বিশেষ এক ধরনের ধোঁয়া। তিন. দাব্বাতুল আরদ বা মাটি থেকে নির্গত এক বিশেষ ধরনের প্রাণী। চার. ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব। পাঁচ. ঈসা (আ.)-এর অবতরণ। ছয়. দাজ্জালের অভ্যুদয়। সাত. আট. নয়. প্রাচ্য, পাশ্চাত্য ও আরব দ্বীপ- এ তিন জায়গায় মাটি ধসে যাওয়া। দশ. আদন থেকে একটি আগুন বেরিয়ে মানুষকে সামনের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া’ (মুসলিম শরিফ)। অন্য এক হাদিসে এসেছে : ‘পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়ের পর পৃথিবী ১২০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকবে।’

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Siam Ahmed Full Biography, Age, Height, Weight, Wife & Pictures

নগদ নয় টাকায় ক্যাশ আউট | কিভাবে সম্ভব | Nagod 9 taka cashout

 

চা কপি বানিয়ে ভাইরাল হওয়া সেই ব্যক্তি | শূন্য থেকে চা কপি বিক্রি থেকে সফ...

ভারতে চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবেন কেন যাবেন || চেন্নাই এপোলো নাকি ভেলোর স...