মিঠাপানির মাগুর মাছ সুস্বাদু ও দ্রুতবর্ধনশীল। যে কোনো আকারের জলাধারে এ মাছ চাষ করা যায়। বাড়ি বানানোর সময় ইট ভেজানোর জন্য চৌবাচ্চা বানানো হয়। তাতেই সম্ভব। বাড়ির ছাদে বা কোনো পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া গেলেও চলবে। অর্থাৎ একটি ১৫ ফুট দীর্ঘ, ৫ ফুট প্রস্থ ও ৩ ফুট গভীরতা বিশিষ্ট হাউস হতে হবে।
যদি না পাওয়া যায়, এ মাপের একটি গর্ত খুঁড়ে পলিথিন বিছিয়ে পানি ধারণের ব্যবস্থা করে একটি মিনি পুকুর তৈরি করে নেয়া যেতে পারে। এতে ১০০টি পোনা মাগুর চাষ করে তিন মাসেই তা বিক্রি করা যায়। বিদেশি এ মাগুরের আকৃতি দেশি মাগুরের চেয়ে বড় এবং অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ।
চৌবাচ্চার প্রস্তুতি
চৌবাচ্চাটি ভালো করে পরিস্কার করতে হবে। জীবাণুমুক্ত করতে চৌবাচ্চায় ১০০ গ্রাম চুন গুলিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। চুন দেয়ার পর পানি সরবরাহ করে পরদিন ১-২ কেজি পঁচা গোবর, ১-২ কেজি মুরগির বিষ্ঠা ছিটিয়ে দিতে হবে। দু’একদিন পর পানি ভালোভাবে নেড়ে ১৫০ গ্রাম খৈল, ১০০ গ্রাম চালের কুঁড়া, ৫০ গ্রাম শুঁটকি মাছ ও ২৫ গ্রাম করে ইউরিয়া, টিএসপি দেয়া উচিত। দু’তিন দিনের মধ্যে পানির বর্ণ সবুজ হয়ে যাবে। এ সময়ই মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত।
পোনা প্রাপ্তি ও মজুদ
যে কোনো সরকারি, বেসরকারি হ্যাচারি, পোনা বিক্রেতা ও সরকারি কৃষি খামারে পোনা পাওয়া যায়। ১ ইঞ্চি মাপের ১০০টি পোনা একটি চৌবাচ্চায় মজুদ করা যেতে পারে। ব্যাঙ ও অন্যান্য প্রাণী থেকে পোনাকে সাবধানে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ৫-৭ ইঞ্চি পোনা ব্যবহার করা যেতে পারে।
মাছের খাবার
এ পদ্ধতির জন্য সম্পূরক খাবার অপরিহার্য। পোনা মজুদের পর দিন থেকে সয়াবিন, তিল, সরিষার খৈল ৪০ শতাংশ, আতপ চালের কুঁড়া ৪০ শতাংশ, শুঁটকির গুঁড়া ২০ শতাংশ করে মাছের খাবার দিতে হবে। এর সঙ্গে জবাইকৃত প্রাণীর জমা রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, ঝিনুক বা শামুকের মাংস এবং সামান্য পরিমাণ লবণ, আটা ও ভিটামিন মিশ্রিত খাবার দেয়া যেতে পারে। মাছের রোগ থেকে রক্ষা পেতে খাবার উপাদানে বিশুদ্ধতা বজায় রাখা উচিত। মাছের বৃদ্ধি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে ৩০ গ্রাম ইউরিয়া ও টিএসপি দেয়া যেতে পারে। সঠিক পরিমাণে মাছের খাবারের জন্য ১১টি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রতিটি ধাপে সময় থাকবে পাঁচদিন করে। প্রথম থেকে একাদশ ধাপে যথাক্রমে ২৫০০, ৪০০, ৫০০, ৬০০, ৭০০, ৮০০, ৯০০, ১০০০, ১১০০, ১১০০ ও ১২৫০ গ্রাম হারে খাবার দিতে হবে। পানির রঙ গাঢ় সবুজ বা পানির ওপরে সবুজ আবরণ পড়লে খাবার বন্ধ রাখতে হবে।
পানি পরিবর্তন
২৫-২৮ দিন পরপর চৌবাচ্চার সব পানি ফেলে, নতুন পানি সরবরাহ করতে হবে। এরপর ১৫ গ্রাম চুন গুলিয়ে পানিতে ছিটিয়ে দিতে হবে।
মাছ আহরণ
মাছের ওজন ২০০-২৫০ গ্রাম হলেই বিক্রি করে দেয়া ভালো। কারণ এ রকম মাছের চাহিদা বেশি এবং অল্প সময়ে আবার মাছ ছাড়া যাবে।
উৎপাদন
৬৭-৭৫ দিনের এক চাষে পরিপূর্ণ পরিচর্যা করলে ১০০টি পোনার প্রায় ৯৫টি বেঁচে থাকবে। যার ওজন হবে প্রায় ১৭৫ কেজি।
যদি না পাওয়া যায়, এ মাপের একটি গর্ত খুঁড়ে পলিথিন বিছিয়ে পানি ধারণের ব্যবস্থা করে একটি মিনি পুকুর তৈরি করে নেয়া যেতে পারে। এতে ১০০টি পোনা মাগুর চাষ করে তিন মাসেই তা বিক্রি করা যায়। বিদেশি এ মাগুরের আকৃতি দেশি মাগুরের চেয়ে বড় এবং অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ।
চৌবাচ্চার প্রস্তুতি
চৌবাচ্চাটি ভালো করে পরিস্কার করতে হবে। জীবাণুমুক্ত করতে চৌবাচ্চায় ১০০ গ্রাম চুন গুলিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। চুন দেয়ার পর পানি সরবরাহ করে পরদিন ১-২ কেজি পঁচা গোবর, ১-২ কেজি মুরগির বিষ্ঠা ছিটিয়ে দিতে হবে। দু’একদিন পর পানি ভালোভাবে নেড়ে ১৫০ গ্রাম খৈল, ১০০ গ্রাম চালের কুঁড়া, ৫০ গ্রাম শুঁটকি মাছ ও ২৫ গ্রাম করে ইউরিয়া, টিএসপি দেয়া উচিত। দু’তিন দিনের মধ্যে পানির বর্ণ সবুজ হয়ে যাবে। এ সময়ই মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত।
পোনা প্রাপ্তি ও মজুদ
যে কোনো সরকারি, বেসরকারি হ্যাচারি, পোনা বিক্রেতা ও সরকারি কৃষি খামারে পোনা পাওয়া যায়। ১ ইঞ্চি মাপের ১০০টি পোনা একটি চৌবাচ্চায় মজুদ করা যেতে পারে। ব্যাঙ ও অন্যান্য প্রাণী থেকে পোনাকে সাবধানে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ৫-৭ ইঞ্চি পোনা ব্যবহার করা যেতে পারে।
মাছের খাবার
এ পদ্ধতির জন্য সম্পূরক খাবার অপরিহার্য। পোনা মজুদের পর দিন থেকে সয়াবিন, তিল, সরিষার খৈল ৪০ শতাংশ, আতপ চালের কুঁড়া ৪০ শতাংশ, শুঁটকির গুঁড়া ২০ শতাংশ করে মাছের খাবার দিতে হবে। এর সঙ্গে জবাইকৃত প্রাণীর জমা রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, ঝিনুক বা শামুকের মাংস এবং সামান্য পরিমাণ লবণ, আটা ও ভিটামিন মিশ্রিত খাবার দেয়া যেতে পারে। মাছের রোগ থেকে রক্ষা পেতে খাবার উপাদানে বিশুদ্ধতা বজায় রাখা উচিত। মাছের বৃদ্ধি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে ৩০ গ্রাম ইউরিয়া ও টিএসপি দেয়া যেতে পারে। সঠিক পরিমাণে মাছের খাবারের জন্য ১১টি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রতিটি ধাপে সময় থাকবে পাঁচদিন করে। প্রথম থেকে একাদশ ধাপে যথাক্রমে ২৫০০, ৪০০, ৫০০, ৬০০, ৭০০, ৮০০, ৯০০, ১০০০, ১১০০, ১১০০ ও ১২৫০ গ্রাম হারে খাবার দিতে হবে। পানির রঙ গাঢ় সবুজ বা পানির ওপরে সবুজ আবরণ পড়লে খাবার বন্ধ রাখতে হবে।
পানি পরিবর্তন
২৫-২৮ দিন পরপর চৌবাচ্চার সব পানি ফেলে, নতুন পানি সরবরাহ করতে হবে। এরপর ১৫ গ্রাম চুন গুলিয়ে পানিতে ছিটিয়ে দিতে হবে।
মাছ আহরণ
মাছের ওজন ২০০-২৫০ গ্রাম হলেই বিক্রি করে দেয়া ভালো। কারণ এ রকম মাছের চাহিদা বেশি এবং অল্প সময়ে আবার মাছ ছাড়া যাবে।
উৎপাদন
৬৭-৭৫ দিনের এক চাষে পরিপূর্ণ পরিচর্যা করলে ১০০টি পোনার প্রায় ৯৫টি বেঁচে থাকবে। যার ওজন হবে প্রায় ১৭৫ কেজি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন