আমলকিতে রয়েছে আশ্চর্য্য সব ভেষজ গুন। ত্বক, চুল ও চোখের যত্ন থেকে ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও ক্ষুদ্র আকৃতির এই ফল রাখতে পারে বিরাট ভূমিকা। ভিটামিন সি’সমৃদ্ধ আমলকিতে রয়েছে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের ক্ষমতা।
আমলকির ফাইটো-কেমিক্যাল চোখের জন্য উপকারী। হজম ও দেহের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে আমলকি। শারীরিক সুস্থতায় তাই প্রতিদিন অন্তত একটি আমলকি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
আমলকি সাধারণত কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া হয়। টক ও কষটে স্বাদের কারণে অনেকের কাছে আমলকি খেতে ভালো লাগে না। তারা চাইলে উপকারী এই ফল খেতে পারেন ভিন্ন উপায়েও।
অন্য অনেক ফলের মতো আমলকিও ব্লেন্ডার দিয়ে জুস বানিয়ে খাওয়া যায়। কুচি করে কেটে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে সহজেই বানানো যায় আমলকির জুস। কষটে স্বাদ দূর করার জন্য মেশাতে পারেন চিনি বা মধু।
লবণ আর লবনের রস মেখে রোদে শুকিয়েও খাওয়া যায় আমলকি। হজমের ঝামেলা পরিত্রাণের জন্য ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন আচার বা চাটনি বানিয়ে।
যদিও এখন বছর জুড়েই আমলকি কিনতে পাওয়া যায়। তবে বছর জুড়ে ঘরেও সংরক্ষণ করে রাখা যায় ভেষজ এই ফল। মাঝারি আকারে কেটে মিনিট তিনেক পানিতে ফুটিয়ে নেয়ার পর লবণ, আদা কুচি, লেবুর রস ও সরিষার তেল মেখে রোদে শুকিয়ে সারা বছর সরক্ষণ করা যায় আমলকি।
আমলকি খাওয়া যায় গুঁড়ো করেও। সেজন্য আমলকি টুকরো করে শুকিয়ে নিতে হবে। পরে শুকনো টুকরা গুঁড়ো করে বয়ামে রেখে খেতে পারবেন সারা বছর। এর সঙ্গে যুক্ত করে নিতে পারেন মধু ও মাখন। পানিতে চিনির সঙ্গে আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতেও মন্দ লাগবে না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন